এর পূর্বে আমরা হোস্টিং সম্পর্কে আলোচনা করেছি, আপনি যদি হোস্টিং সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে What is Web Hosting (ওয়েব হোস্টিং) কি? পোস্টটি পড়তে পারেন। তাহলে চলুন আলোচনা করা যাক, ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার এবং কি কি।
বিনামূল্যে হোস্টিং করা (Free Hosting):
কিছু হোস্টিং কোম্পানি আছে যারা ফ্রি তে আপনাকে হোস্টিং ব্যবহার করতে দিবে। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেমন Bandwidth/Monthly Traffic খুব কম থাকে।নিরাপত্তা শক্ত হয়না। কোন ডোমেইন নামও পাবেননা।
শেয়ারড হোস্টিং (Shared Hosting):
এই হোস্টিং সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত। আমরা যে হোস্টিং গুলো ব্যাবহার করছি বা সাধারনত হোস্টিং প্রোভাইডাররা যে হোস্টিং অফার করে থাকে তা সবই শেয়ারড হোস্টিং। প্রফেশনাল বা কোন বড় সাইটের একটা স্বয়ংসম্পূর্ন সার্ভারের নির্দিষ্ট পরিমান সার্ভিস দরকার। এই সমস্ত সুবিধা নিজস্ব সার্ভারে নিয়ে আসতে গেলে বেশ ব্যায়বহুল হয়ে যায়। এদের জন্য Shared Hosting উপযুক্ত। এই সার্ভারের নিরাপত্তা কম থাকে কারন এখানে একসাথে অনেক Client এর সাইট(১০ থেকে শুরু করে আরও বেশি) একসাথে থাকে। এছাড়া আনলিমিটেড ডেটাবেস, ইমেইল, ব্যান্ডওয়াইডথ এসব পাবেননা, সব সীমিত। খুব ভাল হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছে হোস্টিং করালে শেয়ারড হোস্টিং প্যাকেজে সর্বোচ্চ নিচের সুবিধা গুলি পেতে পারেন।
রিসেলার হোস্টিং (Reseller Hosting):
এই হোস্টিং মূলত আপনি অন্যদের আপনার স্থান কিছু জিনিস কিনে বিক্রি করে দেওয়া নির্মিত একটি ভার্চুয়াল হোস্টিং অ্যাকাউন্ট. সাধারণত হোস্টিং সরঞ্জাম প্রদান রিসেলার প্রস্তাব কোম্পানি আপনার নিজের “হোস্টিং কোম্পানি হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য এটি সহজ করতে,” অনলাইন সিস্টেম সহ সেট আপ করুন এবং সার্ভারে প্রতিটি ক্লায়েন্ট এর অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে, আপনার নিজের নাম আপনার বিল ক্লায়েন্ট, এবং এটি আপনি সত্যিই তাদের হোস্ট হয় প্রদর্শিত করা.
ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting):
এই হোস্টিং এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার প্রয়োজন। এটা অনেক ব্যায়বহুল। যদি আপনার ওয়েবসাইট অনেক অনেক বড় হয় এবং শক্ত নিরাপত্তা দরকার তখন এই হোস্টিং করা চলে। এখানে আপনি আপনার খরচ পরিমান হার্ডওয়্যার পাবেন। যত ব্যাস্ত সাইট হবে তত বেশি পাওয়ারফুল হার্ডওয়্যার লাগবে। এই হোস্টিং ২ প্রকার
Managed Hosting:
হোস্টিং প্রোভাইডাররাই সব করে দেবে যেমন নিরাপত্তা, সার্ভার সেটাপ, নেটওয়ার্ক কনফিগার, কোন সফটওয়ার ইনস্টল দেয়া ইত্যাদি এজন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হবে।
Unmanaged Hosting:
আপনি যদি Server administrator হন অর্থ্যাৎ আপনি যদি নিজেই আপনার এই ওয়েব সার্ভারের সকল কাজ করে নিতে পারেন তাহলে এটা হবে Unmanaged Hosting. এতে আপনার অনেক অর্থ সেভ হবে। সার্ভার ম্যানেজ করা শেখা যায়। ওয়েবে হাজারটা টিউটোরিয়াল আছে ইচ্ছে করলে শিখে নিজের কাজ নিজেই চালাতে পারেন।
ভিপিএস বা VPS (Vertual Private Server) হোস্টিং:
শেয়ারড আর ডেডিকেটেড হোস্টিং এর মাঝামাঝি হল ভিপিএস হোস্টিং। ডেডিকেটেড সার্ভারে সব হার্ডওয়্যার রিসোর্স একা আপনাকে দিয়ে দিবে এবং আপনার সাইট একটি সার্ভারে থাকবে। আর শেয়ারড হোস্টিং এ আপনার সাইটের সাথে থাকবে আরো হাজারটা সাইট। বিস্তারিত উপরেই আছে। ভিপিএস হোস্টিং এ সাধারনত একটা ডেডিকেটেড সার্ভার কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়। যেমন ১৬ জিবি র্যামের একটা সার্ভার আপনাকে দিল ৪ জিবি এবং বাকিগুলি আরো ৩ জনকে দিল এভাবে সব রিসোর্স ভাগ/সীমাবদ্ধ করে দেয়। ডেডিকেটেড সার্ভারের মতই মোটামুটি নিজের মত যেকোন সফটওয়্যার ইনস্টল দেয়া যায়। সাধারনত তখন এরুপ হোস্টিং প্যাকেজ নিবেন যখন একটা ডেডিকেটেড সার্ভারের সব রিসোর্স আপনার লাগবেনা, তাহলে কাজও হল কিছু অর্থও সেভ হল।
পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে শেয়ার করুন এবং নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ…